আমেরিকার ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে ঘূর্ণিঝড় মিল্টনের তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরবাড়ি ও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বন্যার কারণে ভূমিধসও দেখা দিয়েছে।

বেশি ক্ষতিগ্রস্ত টাম্পা, সেন্ট পিটার্সবার্গ, সারাসোটা এলাকাসহ ফ্লোরিডার উপকূলীয় অংশে। দেশটির আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে ক্যাটাগরি ১ এ রূপ নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে মিল্টন।

ভারী বৃষ্টিপাত, ঝোড়ো বাতাস ও প্রাণঘাতী জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতার মধ্যে গত বুধবার (৯ই অক্টোবর) রাতে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ফ্লোরিডার পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানে ঝড় মিল্টন।

উদ্ধার তৎপরতা চলছে এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া সামুদ্রিক ঝড় হ্যারিকেন মিল্টনের তাণ্ডবে ইতোমধ্যেই ফ্লোরিডার ৩০ লাখেরও বেশি বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ফ্লোরিডায় ঝড়টির ধ্বংসাত্মক তাণ্ডবের আরও ভালো চিত্র পাওয়ার  চেষ্টা করছেন এবং এর ফলে ক্রমবর্ধমান মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর রন ডিসান্টিস বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে আরও বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মিল্টনের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে না যাওয়ার জন্য ফ্লোরিডার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে। পশ্চিম উপকূলে সেন্ট পিটার্সবার্গে পানি সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।